প্রিন্ট এর তারিখঃ Aug 1, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 29, 2025 ইং
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আবারও জলবদ্ধতা সৃষ্টি : দ্রুত ড্রেনের খনন কাজ শুরু

বেনাপোল প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়ার কারণে,রাতভোর ভারী বৃষ্টি
পাতে,আবারও বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে,আর এই জলবদ্ধতা
নিষ্কাশনে দ্রুত ড্রেনের খনন কাজ শুরু হয়েছে।
২৯ শে জুলাই মঙ্গলবার দুপুর তিন টার সময় বেনাপোল
রেলওয়ে স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুইটা এক্সকাভেটর দিয়ে দ্রুত
ড্রেনের খনন কাজ শুরু করেন,বেনাপোল স্থল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন
৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে
নিয়ে।
শ্রমিক নেতা সহিদ
আলী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে,একদিন বৃষ্টি হলে বেনাপোল স্থল বন্দর ও
কাস্টম হাউসে তিন চার দিন পানি জমে থাকে, এতে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য
পানিতে ডুবে থাকে এবং কাস্টম হাউসে হাঁটু পানি জমে থাকে,এতে ব্যবসায়িকদের
যাতাযাতের অনেক সমস্যা হয়। তাই বেনাপোল পোর্ট, কাস্টম হাউস, বেনাপোল
পৌরসভা এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ২ টা ইসকো মিটার এবং আমার
শ্রমিকদের দিয়ে ড্রেনের খনন কাজ শুরু করেছি,যাতে করে গ্রামবাসী ও রেল
লাইনের কোন ক্ষতি না হয়,সেদিকে খেয়াল রেখে, এই ড্রেনের কাজ শুরু করা
হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আশা করছি এই ড্রেনের খননের কাজ শেষ হলে, দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে। আপাতত আর জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
সি
এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ী, বিলকিস সুলতানা সাথী বলেন,বেনাপোল আন্তর্জাতিক
কাস্টম হাউস থেকে সরকার হাজার হাজার কটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। আরেকটু বৃষ্টি
হলেই এই কাস্টম হাউসে হাটু সমান পানি ওঠে, এতে আমাদের যাতাযাত করার অনেক
সমস্যা হয়। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত জলবদ্ধতা নিরাশন করেন।
সি
এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ ইউনুস আলী বলেন,আমরা দেখে আসছি দীর্ঘদিন ধরে
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউসের পানি রেলস্টেশনের কালভার্ট ও ড্রেন
লাইন দিয়ে পানি যেতো,এখন নতুন করে রেলওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য এই কালভার্ট
ও ড্রেন বন্ধ হওয়ায় কারণে স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউজে জলবদ্ধতা সৃষ্টি
হচ্ছে। আর এই কারণে আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার মাল মাল পানিতে ডুবে
নষ্ট হচ্ছে। তাই আমি নিজেই এই ড্রেনের খনন কাজে সহযোগিতা করছি।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ