প্রিন্ট এর তারিখঃ Sep 22, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Sep 21, 2025 ইং
নির্বাচনী মাঠ সরগরম যশোর-৬ আসনে বিএনপির একাধিক-জামায়াতের একক প্রার্থী

কামরুজ্জামান রাজু : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। অপরদিকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। যশোর-৬ আসনটি গঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি একবার ও জামায়াতে ইসলামী একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে দল দুটি তাদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই নেতা ইতিমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক অমলেন্দু দাস অপু এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আদায়ে কাজ করে চলেছেন। এ দু’জন বাদেও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নাম শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামী দলের উপজেলা আমির অধ্যাপক মোক্তার আলীকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
যশোর-৬ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে বিএনপির গাজী এরশাদ আলী ও ১৯৯১ সালে জামায়াতের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর বাইরে ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) আব্দুল হালিম, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের এএসএইচকে সাদেক, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের শেখ আব্দুল ওহাব, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক, ২০২০ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার, ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র আজিজুল ইসলাম (ছাত্রলীগ নেতা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর যশোর-৬ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল।
বর্তমানে এ আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়ন লাভে কর্মকান্ড চালালেও দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বলছেন, মনোনয়ন যিনিই পাবেন তার সঙ্গে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা বলেন, মনোনয়ন বিএনপির একাধিক নেতা চাইতে পারেন। তবে যাকে দল মনোনীত করবেন, তাকেই সম্মিলিতভাবে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জয়লাভ করানোর জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করবেন।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বলেন, দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেশবপুর আসনে অধ্যাপক মোক্তার আলীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সেভাবে তাকে এলাকায় কাজ চালাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকায় এলাকায় স্বউদ্যোগে অধ্যাপক মোক্তার আলীকে জয়লাভ করানোর জন্য আগেভাগেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৬০৯ জন। এর ভেতর পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০২ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৯০৫ জন ও হিজড়া ২ জন।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ