নিজস্ব প্রতিবেদক : মণিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ সাথী আক্তার স্বরুপজান হত্যা মামলায় সৎ ছেলে জিসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিজ জমা দিয়েছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নিহত স্বরুপজানের স্বামী ও সতীনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারা মিয়া। অভিযুক্ত জিসাননের চালকল মালিক আব্দুর রশিদ মিন্টুর প্রথম পক্ষের ছেলে ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সাথী আক্তার স্বরুপজান খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বরুপজান তার রাইচ মিলের পাশে বাড়ি করে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বরুপজানকে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল রাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাজিয়াড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী-সতিন ও সৎ ছেলের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, চালকল মালিক আব্দুর রশিদ মিন্টু দ্বিতীয় বিয়ে করেন মিলের শ্রমিক স্বরুপজানকে। স্বরুপজান মিলের পাশের বাড়িতে থাকত। এ নিয়ে মিন্টুর পক্ষের স্ত্রী-সন্তানদের সাথে প্রায় গোলযোগ হতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টুর বড় ছেলে জিসান ঘটনার দিন সন্ধায় রান্না ঘর থেকে শীল নিয়ে ঘুমন্ত অপস্থায় সৎ মায়ের মাথায় আঘাত করে। এরমধ্যে ধস্তাধস্তিতে নিচেয় পড়ে গেলে খাটের নিচেয় থাকা চাইনিজ কুড়াল নিয়ে গলায় কয়েকটি কোপ হত্যা করে জিসান।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় সৎ ছেলে জিসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় নিহত স্বরুপজানের স্বামী আব্দুর রশিদ মিন্টু ও সতীন সোম বেগমের অব্যহতরি আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। চর্জিশিটে অভিযুক্ত জিসানকে আটাক দেখানো হয়েছে।