প্রিন্ট এর তারিখঃ Sep 22, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Sep 22, 2025 ইং
যশোর পেট্রোল পাম্প দখলের অভিযোগ অস্বীকার বিএনপি নেতার, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে বাগআঁচড়ার পেট্রোল পাম্প দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল। গতকাল সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিকে, যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আনোর হোসেনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এখন থেকে তার সাথে দলের কোন পর্যায়ের সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী পাম্পের মালিকের পরিবারের সদস্যরা এর আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন আনোয়ার হোসেন জাল দলিল ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখল করার চেষ্টা করপণ। যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে কবলা দলিল মূলে গোলাম কিবরিয়ার পেট্রোল পাম্পের ১৭শতক জমি ক্রয় করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি পাম্পটি পরিচালনা করে আসছেন। গোলাম কিবরিয়া ২০১২-১৩ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে দায়গ্রস্থ হয়ে পড়লে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ধার নেন। ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাম্পটির পরিপূর্ণ মালিকানা হস্তান্তরের চুক্তি হয়। এছাড়া ২০১৭ গোলাম কিবরিয়ার তার নামীয় কাগজপুকুর এলাকার তনিমা ফিলিং স্টেশন দলিল করে দেন। চুক্তি হয় ২০২০ সালের পর পাম্পটি তার ভাই জামাল হোসেনকে বুঝিয়ে দেবেন। এরপর থেকে পাম্পটি তিনিই পরিচালনা করছেন। পরবর্তীতে গোলাম কিবরিয়ার ওয়ারেশরা টাকা ফেরত না দিয়েই পাম্পের দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এরপর থেকে গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা নিজেদের স্বার্থে আমার বিএনপির নেতা হওয়ার বিষয়টিকে পূঁজি কর অপপ্রচার শুরু করে।
তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও বেনাপোলের দুই ব্যক্তির প্ররোচনায় তারা এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এরসাথে বিএনপির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আমার প্রাপ্য বুঝে নিতে ৩টি মামলাও করেছি।
তার কোটি কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা পৈত্রিক সূত্রে স্থানীয়ভাবে অগাধ সম্পত্তির মালিক। তাছাড়া তারা তিন ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারশীপের ব্যবসা, ইটভাটা পরিচালনার পাশাপাশি প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। বৈধ অর্থে তারা গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকে সম্পদ ক্রয় করেছেন।
তবে তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্প পরিচালনার তথ্য দিলেও গোলাম কিবরিয়া কর্তৃক তেল উত্তোলনের অথোরাইজের কাগজপত্র এবং তেল বিক্রির হিসেব সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি বিচারকের জাল স্বাক্ষর করে এফিডেভিট তৈরির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তার দাবি তাকে বিতর্কিত করতে গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা সেটি তৈরি করেছেন।
এদিকে গোলাম কিবরিয়ার সন্তান তনিমা তাসনুভা জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেনের উত্থাপিত সকল দাবি মিথ্যা। তাদের কাছ আমার পিতা বা আমারা কোন কিছুই বিক্রি করিনি। আনোয়ার হোসেন জাল এফিডেভিটি ও দলিল সৃষ্টি করে আমাদের সম্পত্তি গ্রাসের চেষ্টা করছে। আমরা এই প্রতারক বিএনপি নেতার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ