প্রিন্ট এর তারিখঃ Oct 15, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Sep 29, 2025 ইং
বাসের হেলপার বাপ্পী সরদার হত্যা মামলায় সহকর্মী রানা সরদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সরদার ট্রাভেলস বাসের হেলপার বাপ্পী সরদার হত্যা মামলায় সহকর্মী রানা সরদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কবির হোসেন মোল্যা। অকিযুত্দ রানা সরদার যশোর সদরের হুগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরিফুল সরদারের ছেলে ও সরদার ট্রাভেলসের ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯৬৫১ বাসের হেলপার।
মামলার অভিযোগে জানাগেছে, নড়াইল লোহাগাড়ার শংকরপাশা গ্রামের ইদ্রিস সরদারের ছেলে বাপ্পী সরদার ‘সরদার ট্রাভেলস বাসের হেলাপার হিসেবে কাজ করত। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর বাপ্পী বাসের হেলপারের কাজের উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে চলে যায়। ১৬ নভেম্বর সকালে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে বাপ্পীকে কেবা করার তার বাসের মধ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ইদ্রিস সরদার বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রানা সরদার ও নিহত রানা সরদার একই কোম্পানির বাসে হেলপারি করত। আসামি রানার যশোর পতিতা পল্লীর এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে। তাকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় রানা। একদিন বাপ্পী তার রানার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ওই মেয়ের সাথে কথা বলে বাপ্পী। কয়েক দিন যেতে না যেতে রানার সাথে কথা বন্দ করে ওই মেয়ে বাপ্পীর সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি বুঝতে পেরে রানা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৫ নভেম্বর রাতে আসামি রানা ও বাপ্পী যশোরে ছিল। বাপ্পী খুলনা বাসস্টান্ডের মনির উদ্দিন পাম্পের সামনে তার বাসের ঘুমিয়ে ছিল। রানা বিষয়টি জানতে পেরে গভীর রাতে জানালা দিয়ে বাসের মধ্যে ঢুকে বাপ্পীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে তারা বাসে চলে যায়।
এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় রানা সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত রানা সরদারকে আটক দেখানো হয়েছে।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ