
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এ পরিকল্পনার প্রধান বিরোধী পক্ষ হামাস এখনো লিখিতভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।
তবে হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, গোষ্ঠীটি অস্ত্র সমর্পণের কোনো পরিকল্পনা নেই। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব চলতে থাকলে হামাস নিজেদের অস্ত্র ধরে রাখবে বলেও জানানো হয়েছে।
📌 ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় কী রয়েছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে:
হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব জিম্মি মুক্ত করতে হবে
গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে
হামাস ও গাজার অন্যান্য গোষ্ঠীকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে
এরপর শুরু হবে মানবিক সহায়তা ও গাজা পুনর্গঠন
📌 হামাসের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া: অস্ত্র ছাড়া নয়
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, হামাসের এক উচ্চপদস্থ নেতা জানান:
"আমরা এখনো ট্রাম্পের প্রস্তাব লিখিতভাবে পাইনি। পেলে পর্যালোচনা করব। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে দিচ্ছি — যতদিন দখলদার ইসরায়েল থাকবে, ততদিন আমাদের অস্ত্র আপসহীন।"
তিনি আরও বলেন,
"অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে তখনই আলোচনা হতে পারে, যখন এমন একটি কাঠামো আসবে যা ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের নিশ্চয়তা দেবে।"
হামাস বলছে, তারা গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করে এমন যেকোনো প্রস্তাব বিবেচনায় নেবে।
📌 ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বাড়বে হামলা
হোয়াইট হাউসে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প জানান, হামাস যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ইসরায়েল গাজায় হামলার মাত্রা আরও বাড়াবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে।
📌 বিশ্লেষণ: অস্ত্র ত্যাগেই শান্তির শর্ত, কিন্তু হামাস কী রাজি হবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হলেও অস্ত্র সমর্পণের বিষয়টি হামাসের দৃষ্টিকোণে ‘অধিকারের আত্মসমর্পণ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষে নিরস্ত্রীকরণ ও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই গাজার স্থায়ী শান্তি অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
🔍 শেষ কথা
এখন প্রশ্ন—হামাস কি শেষ পর্যন্ত লিখিতভাবে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে? নাকি আলোচনার নতুন পথ খুলবে?
সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে গাজা উপত্যকার দিকেই।