
চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় জাতীয়করণ হওয়া সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
অনিয়ম ও দূনীতির বিষয়ে কলেজের সাধারণ শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একাধিকবার আপোষ মীমাংসাও করেছেন। তবুও থামছেনা তার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা। অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে চরমভাবে শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যার ফলে উপজেলার ঐতিহ্যবহি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
জানা যায়, স্থানীয় এক জামায়াত নেতার তদবিরের মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চৌগাছা সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এরপর থেকেই স্বজনপ্রীতি, আর্থিক দুর্নীতি, চাঁদা দাবি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় জামায়াত নেতার তদবিরের কথা প্রকাশ্যে আসলেও মূলতঃ তার বদলীর ফাইল প্রসেসিং শুরু হয় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর পিএস ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিত কুমার বসুর হাত দিয়ে। চৌগাছায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে অমিত বসু সেসময়ে কলেজের অদ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুল ইসলামকে বিএনপিপন্থী আখ্যা দিয়ে রংপুরে বদলি করেন। কিছুদিন পরেই অধ্যাপক না হওয়া সত্বেও সহযোগী অধ্যাপক রেজাউর রহমানকে মন্ত্রীর মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদে পদায়নের প্রসেসিং করেন। সেই প্রসেসিংয়ের সূত্র ধরেই ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় জামায়াত নেতার সুপারিশে তিনি চৌগাছায় পদায়ন পান।
সরকারি বিধি মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিলে কলেজ পরিচালনার যাবতীয় সিদ্ধান্তের অনুমোদন নিয়ে কলেজ পরিচালনার বিধান রয়েছে। অথচ তিনি একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করে যাচ্ছেন। যোগদান করেই অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই ক্লিন ক্যাম্পাস নির্মানের নামে শতাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষাধি বৃক্ষ নিধন করেন। অতি ধূর্ত অধ্যক্ষ রাতারাতি গাছ কাটার অস্তিত্ব নির্মূল করে ফেলার চেষ্টা করলেও কলেজ মাঠের উত্তর দিকে একসারি মেহগনি গাছের গোড়া নির্মূল করতে না পেরে আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একটি সূত্র জানায়, গাছ কর্তনের কিছুদিন পরেই গ্রীণ ক্যাম্পাস নির্মানের নামে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি নেন। এই কর্মসূচিতে তিনি পরিচ্ছন্ন কাজের শ্রমিক বিল দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কলেজের সাধারণ তহবিলে জমা ছিল ১১ লাখ ১০ হাজার ৭৭ টাকা। একই বছরের জুন মাসে কলেজের সাধারণ তহবিলে জমার পরিমান দাড়ায় ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪’শ ৩০ টাকা। ৬ মাসেই বিভিন্ন কর্মসূচির নামে ৮ লাখ টাকা তছরুপ করেন অধ্যক্ষ। কলেজের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী জানিয়েছেন তারা একসাথে ৫/৬ জন শ্রমিককে কলেজের পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখেননি। একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দৈনিক ভিত্তিক মজুরিতে দুই মাস কাজ করেছেন, তাও ছুটির দিন ছাড়া অফিস দিনগুলিতে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুজ্জামানের অবসর ভাতা উত্তোলনের কাগজপত্র স্বাক্ষর করতে বেশ কিছুদিন ভোগান্তি দেয়ার পর ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ফাইল স্বাক্ষরের অভিযোগ উঠে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কলেজের পিআরএলে থাকা অবস্থায় মৃত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জিন্নাহ দফাদারের স্ত্রী ও কন্যার কাছ থেকে অবসরভাতা স্থায়ী করনের জন্য একজনের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। এছাড়া কলেজ অনার্সের ১১জন শিক্ষকের ২০১৮ সাল থেকে এরিয়া বেতন-ভাতায় স্বাক্ষরের জন্য ২লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ ওঠে অধ্যক্ষ রেজাউরের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এইচ.এসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে উৎকোচ আদায় করেছেন বলে বেশ কিছু অভিভাবক অভিযোগ করেন।
সর্বশেষ ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কলেজের বিজ্ঞানাগারের জন্য ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পায়। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসেরে তথ্য অনুযায়ি বরাদ্ধের সম্পূর্ণ টাকা ২ কিস্তিতে উত্তোলন করা হয়েছে। কাগজে কলমে ক্রয় করা হয়েছে বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি। কিন্তু বাস্তবে কোনো যন্ত্রপাতি ক্রয় করেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা। বিষয়টি তদন্তের দাবী জানান তারা। তাদের দাবী বিভিন্ন খাতে সরকারি বরাদ্ধের বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অনিয়ম পাওয়া যাবে।
এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রি, কলেজ লাইব্রেরীর বই, আসবাবপত্র, কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন সরকারি বরাদ্দের টাকা ব্যয় করতে হলে একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন ক্রয় কমিটির মাধ্যমে ক্রয় করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অধ্যাক্ষ রেজাউর রহমান কারো মতামত না নিয়েই নিজের পকেট কমিটি করে নিজেই সকল টাকা পকেটস্থ করেছেন। এমনকি ক্রয় কমিটির সদস্যরা ক্রয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী 'কলেজের ২০ হাজার টাকার অতিরিক্ত যে কোন বিল ক্রসড চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।' নির্দেশনা থাকলেও তিনি কলেজের চৌগাছা সোনালী ব্যাংকে প্রিন্সিপাল চৌগাছা সরকারি কলেজ শিরোনামের হিসাব থেকে একাধিকবার এক লক্ষ, পছাত্তর হাজার, ষাট হাজারসহ বিভিন্ন অংকের টাকা চেকের মাধ্যমে ক্যাশ উত্তোলন করে হজম করে ফেলেছেন। এমনকি সর্বশেষ ২৪-২৫ অর্থ বছরের ১৮ জুন, ষাট হাজার টাকা, ২২ জুন ৭৫ হাজার টাকা এবং ২৬ জুন এক লক্ষটাকা চেকের মাধ্যমে ক্যাশ তুলে নিয়ে একটি হোন্ডা মোটরসাইকেল ক্রয় করেছেন। যেটি দিয়ে তিনি চলাচল করেন। কলেজের অফিস সহকারীরা জানেন তিনি ওইটাকা ধার হিসেবে নিয়েছেন। তবে অর্থ বছর শেষ হয়ে তিন মাস পার হলেও ওই টাকা ব্যায়ও করেননি বা সমন্বয়ও করেন নি।
বিজ্ঞান সামগ্রী ক্রয় কমিটির আহবায়ক ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মারুফুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞান সামগ্রী ক্রয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। স্যার আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেছে আমি স্বাক্ষর করেছি। বোঝেন তো স্বাক্ষর না করলে আমার আর এক বছর চাকরি আছে--- আমি ক্রয় কমিটি থেকে পদত্যাগের জন্য পত্র জমা দিয়েছি। অবশ্য ক্রয় কমিটির সদস্য ও অনার্স শাখার ভুগোল বিভাগের প্রভাষক কামরুজ্জামান শাকিল বলেন, সব কিছু কেনা হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের স্যারদের একটি কমিটর মাধ্যমে সব কেনা হয়েছে। ল্যাবে কিছু ছিলো না। সম্পূর্ণ নতুন করে ল্যাব সাজানো হয়েছে।
তবে শাকিলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ও ল্যাবের দায়িত্বে থাকা গোলাম হোসেন বলেন, এতো টাকার কোন সামগ্রী পাইনি। চারমাস আগে সামান্য কিছু সামগ্রী অধ্যক্ষ স্যার দিয়েছেন। সেটা তিনি জোর করে কার্টুন খুলিয়েছিলেন। আর কয়েকদিন আগে সামান্য আরও কিছু সামগ্রীও অধ্যক্ষ স্যার দিয়েছেন। তবে শেষেরগুলো কার্টুন ভরাই আছে। সেখানেও আমাদের চাহিদানুযায়ী সামগ্রী পাইনি।
এছাড়া কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে তিনি কৌশলে বিবাদ বাধিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই বিবাদের সুযোগে তিনি নিরবে দূর্নীতি করে যাচ্ছেন বলে একাধিক শিক্ষক কর্মচারী মতামত প্রকাশ করেছেন। তবে এসব অনিয়ম নিয়ে কোন শিক্ষক কথা বললে তিনি বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার তার কাছের লোক। অধ্যক্ষের ভাই ডিজিএফআইএর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কোটচাঁদপুরের শিমুল খানের আত্মীয় এসব পরিচয় দিয়ে শিক্ষকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
কলেজের এসব নানা অনিয়ম ও দূর্রনীতির বিষয়ে স্থনীয় নেতৃবৃন্দ শিক্ষক-কর্মচারী ও অধ্যক্ষকে নিয়ে কয়েকবার আপোষ মীমাংসা করেছেন। এতে কোনো লাভ হয়নি। অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান কলেজে পাঠদানের পরিবেশ ফিরেয়ে আনার চেষ্টা না করে বরং তার ইচ্ছার বাইরে যাওয়া শিক্ষক কর্মচারীদের দেখে নেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। কর্মচারীদের অপ্রকাশ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন।
অভিযোগ রয়েছে তিনি কলেজে যোগদানের পর থেকে কলেজের ইস্যূ রেজিষ্ট্রারে ব্যাক ডেটে জায়গা ও স্মারক নম্বর ফাঁকা রেখে দিচ্ছেন। যে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী তার মতের অমিল হলেই তাকে ব্যাক ডেটে এবং রেখে দেয়া স্মারক নম্বরে শোকজ নোটিশ ইস্যূ করে হয়রানি করেন।
সম্প্রতি তার এসব বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের বিষয় সোস্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা, একটি কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, চারজন সিনিয়র শিক্ষক, প্রেসক্লাব চৌগাছার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সহ-সভাপতি বিএম হাফিজুর রহমানকে নিয়ে একটি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে তার অনুরোধে বসা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় তিনি অবসরে যাওয়া শিক্ষক রফিকুজ্জামানের অবসরকালীন ফাইলে স্বাক্ষর করতে নেয়া ১০ হাজার টাকা, মৃত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর স্ত্রী কন্যার কাছ থেকে নেয়া ১৫ হাজার টাকা এবং অনার্সের শিক্ষকদের কাছ থেকে নেয়া ২লাখ টাকা ফেরৎ দেবেন। এবং নতুন করে কোন অনিয়মে জড়াবেন না। তার পূর্বের অপরাধ এবারের মতো মার্সি করা হবে। তবে মিমাংসা বৈঠকের রাতেই তিনি ঢাকায় চলে যান এবং প্রায় দশ দিন কলেজে অনুপস্থিত থেকে অনার্সের এক শিক্ষককে (যিনি ২২ সালে যোগদান করে ১৮ সাল থেকে বেতন ভাতা নিচ্ছেন) দিয়ে কয়েকজন শিক্ষককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে কলেজের প্রত্যয়ন বিক্রির ১৫হাজার টাকা থেকে ৬০% হিসেবে ৯ হাজার টাকা কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে নিয়েছেন (যা কর্মচারীদের এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সময় ব্যায় করা হয়)।
গত সপ্তাহে দুই দফায় (১৬২+১২৫)=২৮৭ টি পাঠ্যবই কিনেছে যা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের মতামত না নিয়ে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পাঠ্যবই ক্রয়ের আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের কাছথেকে তালিকা নিতে হয়। এক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। বই ক্রয়ের বিষয়ে ক্রয় কমিটি কিছুই জানেনা। আমাদের শিক্ষকরা যেসব লেখকের বই পড়ায় এখানেই সেসব বই কিনা হয়নি। বাজারে অপ্রচলিত বই কেনা হয়েছে। এই বইগুলো ছাত্রছাত্রীরা কোনদিনই পড়বে না। এই বইগুলো সারা জীবন লাইব্রেরীতেই পড়ে থাকবে।
কলেজসূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ বিজ্ঞান ভবনের ২৯টি জানালা ও কলাপসিবল গেইট ভাংড়ি হিসাবে ১৬০০ কেজি লোহার ভাংড়ি বিক্রি করা হয়েছে। যা ৪২ টাকা কেজি দরে ৬৭ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। তবে অধ্যক্ষ সেই ভাংড়ি ৯৩৭ কেজি বিক্রি দেখিয়েছেন। যা ৩২ টাকা হিসেবে ৩০ হাজার টাকা জমা দেখানো হয়েছে। গতবছরের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পরীক্ষায় অধ্যক্ষের পরীক্ষার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও সেই ফান্ড থেকে জোর করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত ডিগ্রি পরীক্ষা থেকে পরীক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ দেওয়ার জন্য ২৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। কলেজের অভ্যন্তরীন, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পরীক্ষায় বন্টন নীতিমালা অনুযায়ী যে টাকা তার প্রাপ্য হয় সেই টাকা না নিয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা করে জোর করে সম্মানি নেন।
গত ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত এইচএসসি পরীক্ষায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ দিয়ে ইংরেজির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৪০০টাকা, অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০/২৫০ টাকা করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে সিংহভাগ টাকা অধ্যক্ষ পকেটস্থ করেছেন। পরীক্ষা কমিটির শিক্ষকরা এই টাকা তুলতে অস্বীকার করে পরীক্ষা কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি তাদের চাপ প্রয়োগ করে পরীক্ষা কমিটিতে থাকতে বাধ্য করেন।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অনুমান ভিত্তিক। তিনি বলেন, আমি একজন বিসিএস কর্মকর্তা। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখে কোনো লাভ হবেনা। বলে ফোন রেখে দেন।