প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 7, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 28, 2025 ইং
জাতি গঠনে জিয়াউর রহমানের দুর্শিতা ছিল। তিনি শিশুদেরকে ছোট থেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, জাতি গঠনের জিয়াউর রহমানের দুর্শিতা ছিল। তিনি শিশুদেরকে একেবারে ছোট থেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের বিকাশের জন্য শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে শিশুরা রাষ্ট্রীয় ভাবে বির্তক, আবৃতি, নাচ, গানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করার সুযোগ পেতো। আজকে যারা দেশের খ্যাতনামা এবং অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী তারা এভাবে তৈরি হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার শিশুদের বিকশিত হওয়ার সেই সুযোগটি বন্ধ করে দিয়েছিল। সেটি আবার শুরু করতে হবে।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, জেড ফোর্সের সর্বাধিনায়ক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা ছাত্রদল আয়োজিত উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জিয়া স্মৃতিপাঠাগার জেলা শাখার সার্বিক ব্যবস্থপনায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধণ করেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে তাদের তৈরিকৃত বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্তকার অবস্থার মধ্যে রেখে গেছে। তারা গোটা জাতিকে অন্ধকারের মধ্যে রেখে গেছে। এ থেকে উদ্ধার করে জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশ ও জাতি পুর্নগঠনের সময় এসেছে। দেশের তরুণ এবং যুবসমাজকে নিজেদের মতো যোগ্য করে নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় এবং সুযোগ। তাই দেশে ছাত্র ও যুবদেরকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করে দেশ ও জাতি পূনর্গঠন করতে হবে। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
শহীদ জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ওপর মোটি ১৫ টি বিষয়ে ১৫ শিক্ষার্থী উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরমধ্যে সরকারি এম এম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুন প্রথম, যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পঞ্চম সেমিস্টারের ইমামুল হোসেন দ্বিতীয় এবং সরকারি এম এম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর খাদিজাতুল সাবিহা লিসা তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিযোগীরা হলেন, যশোর সরকারি সিটি কলেজের সোলাইম আদনান, সেজুতি বিশ্বাস, রাতুল পাল, তাসনিম সুইটি, আরিফিন জামান, সরকারি এম এম কলেজের মাসুদুর রহমান, এস কে ইয়াসিফ আরবী, আজিজুর রহমান, যশোর পলিটেকনিট ইন্সটিটিউটের তামান্না জাহান ¯িœগ্ধ, আরাফ সিদ্দিকী তুর্য, জিহাদ হোমেন এবং আসমা আক্তার আখি। প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীসহ অংশ গ্রহণকারী সকলকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম নিজেই প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন। তার সাথে বিচারেকের দায়িত্ব পালন করেন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল, জিয়া পরিষদ যশোরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজা খাতুন, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোরের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ পলাশ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ