প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 7, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jun 4, 2025 ইং
যশোরে কোরবানির হাটে পশুর আমদানি থাকলেও বিক্রি কম
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর :
যশোরে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। হাটে আমদানি হয়েছে প্রচুর পরিমাণে গরু। কিন্তু বেচাকেনা খুবই কম। খামারী ও ব্যাপারীরা বলছেন, এ বছর গরু পালনে খরচ বাড়লেও দাম বলছেন না ক্রেতারা।
যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল গরু হাট জেলার সবচেয়ে বড় হাট। ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারী ও স্থানীয় লোকজন সপ্তাহে দুই দিন শনি ও মঙ্গলবার এ হাটে গরু বেচা-কেনা করেন। এ বছর হাটে দেশীয় খামারে লালন পালন করা প্রচুর পরিমাণ গরু উঠলে করোনার কারণে জমেনি হাট। ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। ফলে খামারী ও স্থানীয় ব্যাপারী গরু নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকলেও আশানুরুপ দাম বলছেন না ক্রেতারা। এতে করে লোকসানেই গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি খামারি ও ব্যাপারীদের।
শফিকুল ইসলাম নামে এক খামারি বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমরা গরু মোটাতাজা করি।এবছর গরু লালনপালন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে হাটে সেই পরিমাণ দাম বলছেনা। পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছি এমন দাম বললে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।
আব্দুস সালাম হাটে গরু নিয়ে এসেছে ১৭টি, ২টি গরু ৫হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, খামারে যে গরুর দাম ১লাখ ১৫ হাজার বলেছে হাটে সেই গরুর দাম বলছে লাখ টাকা। বাজারে যে পরিমাণ গরুর আমদানি হয়েছে তার অর্ধেক কেনার লোক নেই। পশু খাদ্যের দাম বেশি আর গরুর দাম কম। হাটে ২৬ হাজার টাকা মাংসের মন হিসাবে গরু বিক্রি হচ্ছে।
আব্দুস সাত্তার বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমি গরু কেনাবেচা করি। আমি যশোর সাতমাইল থেকে গরু করায় করে বাগেরহাট জেলায় বিক্রি করি। সাতমাইল হাটে স্বল্প বাজেটে ভালো ভালো গরু পাওয়া যায়। গতহাটে সাতটি গরুতে প্রায় বিশ হাজার টাকা লাভ করেছি। আজ ২০টি গরু কিনবো ইনশাআল্লাহ বাজার ভালো আছে লাভ করতে পারবো।
যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলা জুড়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী যে সকল পশুর হাট রয়েছে তার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসনিকভাবে টিম গঠন করে নির্বিঘ্নভাবে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ