যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামে সাপের কামড়ে সুমায়া খাতুন (৯) নামের এক কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় তার মা খাদিজা বেগম গুরুতর আহত হয়ে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বাঁকড়া দাসপাড়ায় ইমাদুল ইসলামের বাড়িতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক একটার দিকে একটি বিষধর সাপ তাদের দুজনকে দংশন করে। তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে সাপটিকে মেরে ফেলে।প্রথমে স্থানীয়ভাবে ঝাড়ফুঁক করা হলেও অবস্থার অবনতি হলে মা-মেয়েকে ভোর রাতে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সুমায়াকে মৃত ঘোষণা করেন। খাদিজা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুমায়ার দাদা মোসলেম গাইন জানান, সাপের কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তারা ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট হওয়ায় সুমায়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকড়া ইউনিয়নের বড় খলসি গ্রামে সাপের কামড়ে মারা যান কৃষক মিলন সরদার (৪৫)। তিনি মাঠে গরু আনতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন। তাকেও শুরুতে ঝাড়ফুঁক করানো হয়, পরে অবস্থা খারাপ হলে কলারোয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অল্প সময়ের ব্যবধানে একই ইউনিয়নে দুটি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা সাপে কাটার পর ঝাড়ফুঁকের পরিবর্তে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সময়মতো চিকিৎসা পেলে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব বলেও তারা মত দিয়েছেন।