কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয় একটি সেপটিক ট্যাংকে। এই নৃশংস ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি জানান, নিহত ফেরদৌসী বেগম ও তার ভাশুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের মধ্যে বাড়ির পাশে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই নুরজাহান দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি নিয়োগ দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু নামের তিন ভাড়াটে খুনি। গত ২৭ জুন সকালে তারা ফেরদৌসী বেগমকে একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে।
পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। চারদিন পর ১ জুলাই সকালে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ফেরদৌসীর ছেলে ইকরামুল হাসান ওইদিনই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে নুরজাহান বেগমকে আটক করে। তার দেওয়া জবানবন্দিতে বাকি তিন আসামির নাম উঠে আসে। এরপরই অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ফেরদৌসী বেগমের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তিন ভাড়াটে খুনিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।