
চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের নেত্রী লাবিবা লামিয়ার মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য। সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লাবিবা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে চবি ল্যাবরেটরি স্কুলসংলগ্ন একটি বাসায় বসবাস করতেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসার গৃহকর্মী ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে জানালার পাশে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
তবে ঘটনার বিবরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। প্রত্যক্ষদর্শী গৃহকর্মী জানান, “আপু জানালার সঙ্গে ঝুলে ছিলেন, কিন্তু তার পা মাটিতে ছিল। এখনো বুঝতে পারছি না কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। ফাঁসি দিলে তো পা মাটি ছোঁয়ার কথা নয়।”
এ অবস্থায় তার সহপাঠীদের একাংশ মনে করছেন, এটি আত্মহত্যা নয় বরং ঘটনার পেছনে থাকতে পারে অন্য কোনো রহস্য। কারণ, মরদেহের পায়ের অবস্থান ছিল অস্বাভাবিক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে লাবিবা প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ছয়টি কোর্সে ফেল করে ড্রপ-আউট হন, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে।
চবি সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। তখন লাশ নামিয়ে ফেলা হয়েছিল। পরে পুলিশ এসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।”
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, “মেয়েটির মরদেহ জানালার পাশে মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে।”
এদিকে লাবিবার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন—আত্মহত্যা, না পরিকল্পিত কোনো ঘটনা? নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না কেউই।
আপনার মতামত লিখুন :