• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

ট্রেনে অচেতন মা, নিখোঁজ চার বছরের মরিয়ম: মুক্তিপণ দাবি, তৎপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ


FavIcon
সাইফুল্লাহ খালিদ
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 31, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা থেকে যশোরগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে চার বছরের কন্যা মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করেছিলেন মৌসুমি। কিন্তু ২০ জুলাই রাতের সেই যাত্রা রূপ নেয় এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে। রহস্যজনকভাবে অচেতন হয়ে পড়েন মৌসুমি, আর জ্ঞান ফিরে পেয়ে নিজেকে আবিষ্কার করেন খুলনা রেলস্টেশনে—কিন্তু পাশে নেই তার একমাত্র সন্তান মরিয়ম।

এরপর কেটে গেছে ১০ দিন। আজও মেয়েকে খুঁজে পাননি যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা রনি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মৌসুমি। পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও মেলেনি কার্যকর সহায়তা।

রনি বিশ্বাস জানান, উল্লাপাড়া পর্যন্ত ট্রেনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল। এরপর কী ঘটেছে, তা কিছুই মনে নেই মৌসুমির। জ্ঞান ফেরার পর খুলনা স্টেশনে নিজেকে একা পান তিনি। পরে রেলওয়ে পুলিশ ও স্টেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও শুরু হয় দীর্ঘ হয়রানির যাত্রা।

একেক থানায় একেক রকম অজুহাত: “ঘটনাস্থল নির্ধারণ না হলে জিডি নেওয়া যাবে না।” খুলনা, দর্শনা, পাকশি, পোড়াদাহ, চুয়াডাঙ্গা—সাত-আটটি রেলওয়ে থানায় ছুটেছেন রনি, কিন্তু কোথাও মিলেনি সহযোগিতা। এর মধ্যেই এক অজানা নম্বর থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়, না দিলে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় গেলে পুলিশ জানান, এটি রেলওয়ে পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত। হতাশ রনি বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করেন একজন সাংবাদিকের সঙ্গে। পরে বিষয়টি পৌঁছে দেওয়া হয় রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমানের কাছে। তিনি তাৎক্ষণিক গুরুত্ব সহকারে রেলওয়ে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডিআইজি গোলাম রউফকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

ডিআইজি গোলাম রউফ জানান, এ বিষয়ে আগে কেউ রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন। বুধবার রাতে রনি ও তার পরিবারকে সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয় এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে রেলওয়ে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।

মরিয়মকে উদ্ধারে রেলওয়ে পুলিশ এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।