মনিরামপুরে শিক্ষকদের কর্মবিরতি,শ্রেণি কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের
শাহরিয়ার সীমান্ত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 14, 2025 ইং
মনিরামপুর প্রতিনিধি : ঢাকায় শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে পুলিশের হামলার প্রতিবাদসহ নানা দাবিতে যশোরের মনিরামপুরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারা দেশের সাথে একযোগে আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা অফিসকক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানা গেছে।
এদিকে ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে এসে খেলাধুলায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। আবার ভিন্ন চিত্র দেখে গেছে উপজেলার মদনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই প্রতিষ্ঠানে সোমবার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার পর তাদের শ্রেণি কক্ষে ঢুকতে না দেওয়ার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবিতে দেখা গেছে, ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে কয়েকজন শিক্ষক ভিতরে দাঁড়িয়ে আছেন। বাইরে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রেখে একজন শিক্ষক কথা বলছেন।
দেবাশীষ কুমার দাস নামে এক শিক্ষক নিজের ফেসবুক পেজে সেই ছবি ছেড়েছেন।
ছবির কমেন্টে মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম তুহিন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসতে দেও। তারপর কর্মবিরতি। উত্তরে দেবাশীষ দাস লিখেছেন, বসা চলবে না দোস্ত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর আন্দোলনের বিষয়ে তাদেরকে বলা হয়েছিল। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো তখন ধারণ করা।
তবে এই বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে কর্মবিরতির বিষয়ে হাজরাকাটি দারুল উলুম মহিলা আলিম মাদ্রাসার গণিত শিক্ষক শেখ আজাদ বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি হচ্ছে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও আমাদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দিতে হবে। আমরা এই দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছি।
টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিরব হোসেন বলে, স্যারেরা বেতন বাড়ানোর আন্দোলন করছেন। আমরা সকালে স্কুলে এসেছি। একটা ক্লাসও হয়নি। কিছুক্ষণ খেলাধুলা করেছি। এখন ১১টা ৫০ বাজে। বাড়ি চলে যাচ্ছি।
কালারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ এলাহি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সিন্ধান্ত মেনে ক্লাস বর্জন করেছি। পাঠদান না চালালেও আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করব।
মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুহিব্বুল্লাহ বলেন, আমরা পাঠদান বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কলেজে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রশিদ বলেন, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন সারা দেশে চলছে। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সরকার শিক্ষকদের বিষয়টি নজরে নিয়েছেন। আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টি সমাধান দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :