
রোববার (২৯ জুন) উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে ৫৮ জন ব্যবসায়ী স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবি, কাঁচাবাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে যেখানে মসজিদ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এবং প্রতিটি আড়তে ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে।
হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান লেন্টু জানিয়েছেন, তিনি ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন এবং নিয়মিত আয় করছেন। তিনি বলেন, "বর্তমান স্থানে মসজিদ নির্মাণের ফলে ১১০টি আড়ৎ সক্রিয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা আমাদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করবে।" তিনি আরও দাবি করেন, "যদি মসজিদ নির্মাণ করতেই হয়, তবে ইজারাদার এবং ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।"
এ বিষয়ে চৌগাছা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান জানান, “চৌগাছা মডেল মসজিদ প্রকল্পের অনুমোদন ২৯ জুন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খোঁজা হবে।”
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা ইসলাম জানিয়েছেন, "সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে বাজারে নতুন মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে।"
আপনার মতামত লিখুন :