• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

কেশবপুর পৌর নির্বাহীর নিকট চাঁদা চাওয়ায় থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে এজাহার


FavIcon
Rifat Ahamed Hemel
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 2, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর লেখার ভয় দেখিয়ে তার নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ২ মাসের মধ্যে তারা ৪দিন পৌরসভায় যেয়ে ওই চাাঁদার টাকা দাবী করে। থানার ওসি বলেছেন এঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 
থানায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, যশোর কোতয়ালী থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে (এশিয়ান টিভির যশোর জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দানকারি) মোঃ নাছিম রেজা (৫৫),  খোলাডাঙ্গা (কদমতলার মোড়) এলাকার আবুল হোসেন মহুরির ছেলে এফএম কাশেম ওরফে ভিমরাজ, ভিম রাজের ছেলে আব্দুল্যা আল মামুন ও পাগলাদহ গ্রামের মৃত আঃ আজিজের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গত ১৪/০৫/২০২৪ তারিখ বেলা আড়াইটার দিকে কেশবপুর পৌরসভায় এসে সকলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফযল মোঃ ইনামুল হকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তারা তাকে বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথাবার্তা শোনাইয়া তার নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা তাকে শান্তিতে থাকতে দেবেনা এবং তার বিরুদ্ধে নিউজ করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ২৫/০৬/২৫ তারিখে আবার তারা কেশবপুর পৌরসভায় এসে তার নিকট আবারও ওই একলাখ টাকা দাবী করে। এবারও তিনি টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকী দিয়ে চলে যায়। পরবর্তিতে তারা এই ঘটনার পরের দিন তার গ্রামের বাড়িসহ যশোরের বাসভবনে যেয়ে তাকে না পেয়ে তারা বাসার দারোয়ানকে হুমকি দেওয়াসহ তার ছেলে মেয়ে কোথায় থাকে এবং কোন স্কুলে পড়া লেখা করে তা জানতে চাই। এরপর বিভিন্ন মারফত তারা ওই টাকা চেয়ে তাকে হুমকি দিতে থাকে এর এক পর্যায়ে তারা আবার ৩০/০৬-২৫ তারিখে কেশবপুর পৌরসভায় এসে পৌর নির্বাহীকে খুজতে থাকে। এসময় তাকে না পেয়ে তারা কেশবপুর শহরে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরে চলে যায়। শেষ দিন তারা পেরসভার একাধিক কর্মচারি ও সাংবাদিকদের সাথে তাদের দেখা হয় এবং কথাবার্ত হয়। পরবর্তিতে পৌরসভার সহকর্মিদের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে আবুল ফযল মোঃ ইনামুল হক আতংকিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ঘটনাটি তিনি তার কর্মস্থলের কর্মকর্তাদের জানালে তারা তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। এরপর তিনি ৩০/০৬/২৫ তারিখে ওই ৪ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে একটি এজাহার দাখিল করেন। এদিকে ইতি পূর্বে সিরাজসহ ৩ ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেশবপুর সদরের মধ্যকুল গ্রামের ডাক্তার ইয়াকুবের নিকট যেয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে খবর লেখা হবে বলে তাকে হুমকি দেয়। এসময় তাদের আচারণ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে উত্তেজিত জনতা সিরাজসহ দুইজনকে গরুর দঁড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এসময় তাদের সাথে থাকা অপরজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় জনতা তাদেরকে বেদম মারপিট করে কেশবপুর থানা পুলিশের নিকট সোপদ্দ করে। পরবর্তিতে ওই দিন রাতে বিভিন্ন মাধ্যমে মচুলিকা দিয়ে তারা থানা থেকে ছাড়া পায়। এছাড়া নাসিম রেজার বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সিরাজ জনযুদ্ধের সদস্য থাকা কালে যশোরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মোঃ নাসিমের উপস্থিতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্নসমর্পন করলে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এছাড়া সিরাজ পাগলাদহ গ্রামের জাতীয় পার্টির নেতা হেলাল হত্যা মামলার আসামী হয়ে ৪ বছর জেল খেটেছে বলে সূত্র জানায়। 
এব্যাপারে নাছিম রেজা, আব্দুল্লা আল মামুন ও সিরাজ জানান, তারা কেশবপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফযল মোঃ ইনামুল হকের পূর্বের কর্মস্থল ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর পৌরসভায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির ব্যাপারে জানতে তার কাছে আসি। 
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নাছিম রেজা, সিরাজ ও আব্দুল্লা আল মামুনসহ চার জনের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যস্থা গ্রহন করা হবে।