
যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে নতুন এসব রোগী শনাক্ত হন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন ১৭ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, কেশবপুর ও মণিরামপুরে ২ জন করে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ জন। কিন্তু জুন মাসেই শনাক্ত হয়েছেন ৪২ জন—যা ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাজনক চিত্র তুলে ধরছে।
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা বলেন, “বর্ষাকালে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশার প্রজনন বাড়ে। এই মশার কামড় থেকেই ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। তাই বাড়ির চারপাশে যাতে কোথাও পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফুলের টব, ডাবের খোলা, পুরোনো টায়ার বা যেকোনো পাত্রে পানি জমলে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। তাই নিয়মিত সেগুলো পরিষ্কার করা জরুরি।”
সিভিল সার্জন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মশারি ব্যবহার ও মশার কামড় থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই সবচেয়ে কার্যকর। ডেঙ্গু মোকাবেলায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।”
আপনার মতামত লিখুন :