ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পরদিন বিএনপি নেতাকে মারধর করলো পুলিশ সদস্য
সাইফুল্লাহ খালিদ
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 5, 2025 ইং
চৌগাছা প্রতিনিধি: আমাদের ছোট গ্রামে কিছু একটা হতে যাচ্ছে যত সম্ভব খুবই তাড়াতাড়ি। সাবধানে থাকবেন ভাল থাকবেন। ঈদ মোবারক।' ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়েই পরদিন বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে যশোরের চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম ধুলিয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। এবং অভিযুক্ত হলেন একই এলাকার আওয়ামী সমর্থক আব্দুর রহমান লাল্টু (৫২) ও তার ছেলে খুলনা পুলিশলাইনে কর্মরত পুলিশ সদস্য তাওহীদ ইসলাম সিন (২৮)।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জহরুল ইসলাম তার প্রতিবেশী বিবাদীদের বাড়ির সামনে গেলে পুলিশ সদস্য তাওহিদ ইসলাম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। জহরুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে তাওহিদ ও তার বাবা আব্দুর রহমান লাল্টু তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম বলেন, “সোমবার সকালে আমার এক আত্মীয় ইজিবাইকযোগে বাসায় আসছিলেন। পথিমধ্যে একটি সরু জায়গায় বিচেলী দিয়ে ঢাকা একটি আলমসাধু রাখা ছিল। ইজিবাইকটি সেটি অতিক্রম করার সময় পলিথিন ছিঁড়ে যায়। পরে যাত্রী নামিয়ে ফিরে আসার পথে ইজিবাইক চালককে আটকায় ওই বিচেলির মালিক। আমি ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং তারা আমাকে হুমকি দেয়। এরপরই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদ ইসলাম সিন তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়— ‘আমাদের ছোট গ্রামে কিছু একটা হতে যাচ্ছে, যত সম্ভব খুবই তাড়াতাড়ি। সাবধানে থাকবেন, ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক।’ পরদিন শনিবার সকালে আমি ও আমার বেয়াই রবিউল ইসলাম বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই। বিবাদীদের বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই তারা হঠাৎ আমার ওপর হামলা চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”
এ ঘটনার স্বাক্ষী রবিউল ইসলাম ও আসাদুল ইসলাম হাবু। তারা জানান, "জহরুল ইসলামকে আমরা মার খেতে দেখেছি।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদ ইসলাম সিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফেসবুকে আমার ব্যক্তিগত একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে যারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ করছে।”
ধুলিয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। নগন্য বিষয় থেকে এটার সুত্রপাত। তবে পুলিশ সদস্য বলে গায়ের জোরে কাউকে এভাবে মারা ঠিক না।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :