• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের পরও চলছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ


FavIcon
সাইফুল্লাহ খালিদ
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 27, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728



 স্বপ্নভূমি ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিরোধে জর্জরিত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হলেও, সীমান্তে গোলাগুলি থামেনি।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘর্ষ চতুর্থ দিনে পা দিয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) ভোরেও বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোতে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই থাইল্যান্ডের বেসামরিক নাগরিক।

থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, গোলাবর্ষণে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু গবাদি পশু মারা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের সিসাকেট প্রদেশ থেকেও ভোরে গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।

সংঘর্ষের কারণে সীমান্ত এলাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সামরিক উত্তেজনা।

শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন। ট্রাম্প 'ট্রুথ সোশ্যালে' লিখেন: ‘উভয় দেশই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চাইছে।’

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ট্রাম্পের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে লিখেন, ‘কম্বোডিয়া দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।’ থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ফেসবুকে লিখেন, ‘ইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। তবে আমরা কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আরও আন্তরিকতা দেখতে চাই।’

বিবাদের মূল কারণ: দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার একটি অনির্ধারিত অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর মূল কেন্দ্র ১১ শতকের প্রাচীন হিন্দু মন্দির ‘প্রেহা ভিহিয়র’ এবং তা মুয়েন থম মন্দিরের মালিকানা দাবি।