• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

শহিদুল আলমের ‘কনশানস’সহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক


FavIcon
S Hasan
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 12, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গাজা অভিমুখে মানবিক সাহায্য নিয়ে যাত্রা করা ‘গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র সব জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আটককৃত জাহাজগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমের ‘কনশানস’ নৌযানটিও। আটকের আগে ফেসবুকের মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম নিজেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে 'অপহৃত' বলে দাবি করেছেন এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি অভিযান
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের নৌবহরে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি জাহাজ আটক করেছে। ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে ‘কনশানস’ জাহাজে হামলা করে, যেটিতে ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন। এরপর তারা তিনটি ছোট জাহাজেও হামলা চালিয়ে সেগুলো আটক করে। ফ্রিডম ফ্লোটিলার ওয়েবসাইটে থাকা ট্র্যাকারে বহরে থাকা ৯টি জাহাজই আটক করা হয়েছে বলে দেখা গেছে।


শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা: 'আমি অপহৃত হয়েছি'
বহরের অংশ হিসেবে গাজা অভিমুখে থাকা ‘কনশানস’ নৌযানে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বুধবার (৮ অক্টোবর, ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই আটকের খবর জানান।

তিনি বলেন, "আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন ফটোগ্রাফার ও লেখক। যদি আপনারা এই ভিডিওটি দেখে থাকেন, তবে জেনে রাখুন– আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর দ্বারা আমি অপহৃত হয়েছি।"

ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এই দেশটি "গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এবং যাদের সক্রিয় সহযোগিতা ও সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলো।" তিনি তাঁর সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুর কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান।

ইসরায়েলের দাবি ও পরবর্তী পদক্ষেপ
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ফ্লোটিলায় অভিযান চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে। পোস্টে দাবি করা হয়, "আইনগত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘনের ও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।"

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, "জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরে পাঠানো হচ্ছে। সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। আশা করা হচ্ছে, যাত্রীদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে।" এর আগে গত মাসেও সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি জাহাজ ও তাদের যাত্রীদের আটক করেছিল ইসরায়েল।