
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
বিস্ফোরণে শারীরিকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীরের তিন ভাই—রাজা, বাদশা ও রিপন। স্প্লিন্টারের আঘাতে তারা আহত হলেও বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। আহতদের পরিবার দাবি করেছে, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন জমাদ্দারপাড়ার আলতু মিয়ার ছেলে অনি, বাস টার্মিনাল এলাকার হাকিমের ছেলে সুজন হোসেন, ইসহাক সড়কের হাকিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম এবং ছোটনের মোড় এলাকার বাবুর ছেলে সাকিব। এসব হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তার অভিযোগ, দুপুরের দিকে অভিযুক্ত অনি, সিরাজুল, সুজন ছাড়াও রাসেল, ফয়সাল, আকাশসহ আরও কয়েকজন সিরাজুলের বাড়িতে একত্রিত হয়ে তার বাড়ির দিকে একের পর এক ককটেল ছোড়ে। এতে তার তিন ভাই আহত হন এবং বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জাহাঙ্গীরের দাবি, এই হামলার পেছনে বাস মালিক রাজীবের মদদ রয়েছে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়ে ফিরে যান।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, "কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে, তবে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একাধিক পুলিশ দল মাঠে রয়েছে এবং জাহাঙ্গীরের জিডির বিষয়টিও তদন্তাধীন।"
এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অনির নেতৃত্বে জমাদ্দারপাড়ায় একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদাবাজি, হামলা ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত। এলাকাবাসী দ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :