স্বপ্নভূমি ডেস্ক : সাতক্ষীরার রাজনীতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। তিনি সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ী কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ, একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও বিদগ্ধ আলেম। হাজারো ছাত্র তার কাছ থেকে ইলম অর্জন করেছে, যার ফলে স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক মহলে তিনি সুপরিচিত ও শ্রদ্ধাভাজন।

রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি জামায়াতের সাবেক জেলা আমীর এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে সাতক্ষীরার ৫ টি আসন একীভূত হয়ে ৪ টি আসনে রূপ নেয়। এ পরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী বাছাইয়ের প্রশ্নে দলের ভেতরে মতভেদ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দিয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের জরিপে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ জনগণ ও কর্মী-সমর্থকরা মুহাদ্দিস রবিউল বাশারকে সাতক্ষীরা ৩ আসনের জন্য  একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, সৎ চরিত্র, বিদ্যাচর্চা ও নেতৃত্বগুণের কারণে তার পক্ষে একধরনের জনস্রোত তৈরি হয়েছে। ফলে তাকে এ আসন থেকে প্রার্থী করা হলে জামায়াতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হতে পারে এমন ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় ভোটারদের।

তবে অন্যদিকে, দলের স্থানীয় রাজনীতির অভ্যন্তরে ভিন্নমতও আছে। কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী তাকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যদি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভুল কৌশল নেয়, তবে সাতক্ষীরার এই আসনটি বিরোধী জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. শহীদুল আলমের দিকেও চলে যেতে পারে। ডা. আলমও এলাকায় সুনামধন্য এবং একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে রেখেছেন।

তবে সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে, মাঠ পর্যায়ে মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের পক্ষে যে জনজোয়ার তৈরি হয়েছে, সেটি উপেক্ষা করা কঠিন। তাকে যদি প্রার্থী করা হয়, তাহলে সাতক্ষীরায় জামায়াতের রাজনৈতিক শক্তি অনেকটাই সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।