পলাতক ফ্যাসিস্ট শক্তির মোকাবিলাই প্রধান চ্যালেঞ্জ, কঠোর হচ্ছে পুলিশ: আইজিপি
S Hasan
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 2, 2025 ইং
স্বপ্নভূমি ডেস্ক: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে 'পরাজিত, পলাতক ও পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির' মোকাবিলা করাই পুলিশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি উল্লেখ করেন, এই গোষ্ঠীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরাই তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় পুলিশ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
নির্বাচন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আইজিপি-র বক্তব্য- আইজিপি বলেন, "আমি তো কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। যারা পরাজিত, ফ্যাসিস্ট তারাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।" তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে যাওয়ার পর এক বছরে বর্তমান অবস্থায় ফিরে আসাটা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জনে আশাবাদী।
পুলিশের সক্ষমতা - মোহাম্মদপুর এলাকার মতো স্থানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আইজিপি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "সক্ষমতা অবশ্যই আছে। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই, আপনাদেরও থাকা উচিৎ নয়।" তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জামিনে বেরিয়ে আসা অপরাধীদের ঠেকাতে প্রয়োজনে নিবর্তনমূলক আটক আদেশ (Preventive Detention Order) দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
আইজিপি নিশ্চিত করেন, পুলিশের খোয়া যাওয়া ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। তিনি বলেন, "আমরা ধারণা করছি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে যেতে পারে, কিছু পাহাড়ি কিংবা আরসা-র হাতে যেতে পারে। এগুলো সবই আমাদের সন্দেহ।" তিনি জানান, সরকার বৈধ অস্ত্র জমা নিয়েছে এবং যারা জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
নির্বাচনে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ
পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা নিয়ে সাবেক কর্মকর্তাদের সমালোচনার জবাবে আইজিপি বলেন, "আমরা সক্ষম, আপনারা যত যা-ই বলেন।" তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হবে (যা গতবারের চেয়ে বেশি)।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:
আইজিপি জানান, গত জুন মাস থেকে পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা এই তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২২০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা আগামী ৫ অক্টোবর থেকে দেশের ১৩০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একযোগে কার্যক্রম শুরু করবেন।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রশিক্ষণের মডিউলটি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ইসি এবং পুলিশের নিজস্ব বিধিমালা শেখানো হবে। তিনি জানান, দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রতিটি পুলিশ সদস্যের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে এবং অস্ত্রের ব্যবহার হবে নীতিমালা মেনে।
আপনার মতামত লিখুন :