• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে


FavIcon
S Hasan
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 12, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

ঢাকা প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ২৪ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, হেফাজতে নেওয়া ১৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জন কর্মরত এবং একজন অবসরোত্তর ছুটিতে (এলপিআর) থাকা কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গত বুধবার (৮ অক্টোবর) জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত। ট্রাইব্যুনাল আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।

হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের তালিকা
সেনা সদর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এবং বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তারা হলেন:

  • মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন
  • মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ (আত্মগোপনে)
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী
  • কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
  • কর্নেল কে এম আজাদ
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
  • কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
  • এলপিআর-এ থাকা একজন কর্মকর্তা
  • আত্মগোপনে মেজর জেনারেল কবীর

ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, পরোয়ানাভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ আত্মগোপনে গেছেন। তিনি যাতে কোনোভাবে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সেনা সদর জানায়, মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১৫ জনকে এরই মধ্যে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, সেনাবাহিনীর কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানাপত্র বা ওয়ারেন্টের কোনো কপি আসেনি। মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ থাকলেও, এই ওয়ারেন্ট নিয়ে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই, আইনের ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।