নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ, প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় তিন গ্রামের মানুষ, ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি
Rifat Ahamed Hemel
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 11, 2025 ইং
অভয়নগর প্রতিনিধি : টানা বর্ষণে যশোরের অভয়নগরে মজুতখালী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করেছে। বাঁধ রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে মাটি ফেলে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলে তিন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্খায় রয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গ্রামবাসী। বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে শুরু হয়েছে মজুতখালী নামের একটি শাখা নদী। নদীর অভয়নগর অংশে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের দিঘলীয়ারাবাদ, নলামারা ও জয়ারাবাদ গ্রাম রয়েছে। এই তিন গ্রামের মানুষ এখন নদীর বাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে বাঁধের কয়েক স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। কারণ মজুতখালী নদী তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে পাশাপাশি তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে যায় মাছের ঘের, ডুবে যায় ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়ে শত শত পরিবার। নদী ও বাঁধ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও নেওয়া হয় না কোনো স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ।
দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গ্রামরক্ষা বাঁধের দুটি স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙনের কারণে যে কোনো সময় নদীর পানি ঢুকে পড়তে পারে গ্রামে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে পানির চাপ বাড়লে উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। প্লাবিত হবে পাশাপাশি তিনটি গ্রাম। তাই দ্রæত সময়ের মধ্যে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম বলেন, ‘মজুতখালী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে তিন গ্রামের শত শত বসতবাড়ি. মাছের ঘের ও ফসলি জমি। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে নতুন বাঁধ তৈরি করাসহ জিও ব্যাগ বা সিসি বøক ফেলে স্থায়ী সমাধানের দাবি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘গ্রামবাসীর দেওয়া স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মজুতখালী নদীর বাঁধ সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :