নিজস্ব প্রতিবেদক : জায়গা পরিবর্তন করে যশোরের চৌগাছা মডেল মসজিদ নির্মান না করা দাবি জানিয়েছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, চৌগাছা কাঁচামাল হাটের মাঝখানে নির্মাণ করলে ১১০টি কাঁচামালের আড়ৎ মালিকরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এজন্য মডেল মসজিদটি হাটের মাঝখানে নির্মাণ না করে স্থানান্তরে দাবি জানিয়ে উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছে ইজারাদার ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।

চৌগাছা কাঁচামাল হাটের ৫৮জন স্বাক্ষরিত ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি  উল্লেখ করেছেন, এপ্রিলের চৌগাছা পাইকারি কাঁচা বাজারের দক্ষিন-পশ্চিম পাশে মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য যে জায়গাটি মাপা হয়েছে সেখানে আমরা ১১০ জন ব্যবসায়ী এবং সহযোগী ব্যবসায়ী হিসাবে ১৫০ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করি। এখানে প্রত্যেকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ৫ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ জায়গায় মসজিদ নির্মাণ হলে প্রায় ২০০ পরিবার আর্থিকভাবে চরম দুর্দশায় পতিত হবে এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে বসতে হবে। মসজিদটি হাটের মাঝখানে নির্মাণ না করে স্থানান্তরে দাবি আমাদের।

ইজারাদার আতিকুর রহমান লেন্টু বলেন, ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকায় আমি হাটের ইজারাদার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছি। প্রায় ৩ মাস ধরে হাটের ইজারা আদায় করছি। চৌগাছা মডেল মসজিদ নির্মানে উপজেলা প্রশাসন কাঁচাবাজার মাঠে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে স্থান প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু সেখানে প্রায় ১১০টি কাঁচামালের আড়ৎ আছে। এখানে নির্মাণ হলে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে আমাদের। 

তিনি আরও বলেন, একটি মহল হাটের মাঝা-মাঝি জায়গায় মসজিদটি স্থাপনের জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে আমাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রন্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এতে করে সর্ববৃহৎ কাঁচাবাজার ধ্বংসের পায়তারা চলছে। যদি এখানে মসজিদ নির্মাণ করতে হয়, তাহলে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরর্ণ দিতে হবে।’

এ বিষয়ে চৌগাছা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, ২৯ জুন চৌগাছা মডেল মসজিদের অনুমোদন হয়েছে। ইজারাদার ও ব্যবসায়ী যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সবাই বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা সরেজমিনে দেখেছি। মসজিদ নিমার্ণ জন্য কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাজারে নতুন মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের দোকান দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’