• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জার : সালাহউদ্দিন আহমেদ


FavIcon
সাইফুল্লাহ খালিদ
নিউজ প্রকাশের তারিখ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০১
ছবির ক্যাপশন: ad728



স্বপ্নভূমি ডেস্ক: 
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারবো না।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন বলেন, এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচাইতে বেশি। আমরা জেনেছি হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন— এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরও শুনেছি এক দুই ঘণ্টা পরে তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেবো? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কিছুদিন যাবত গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখছি। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সবসময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ বিএনপিকে দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কী করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, জনগণ আশা করছে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।