গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহর
S Hasan
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 12, 2025 ইং
স্বপ্নভূমি ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে সমুদ্রপথে এগিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)-এর নতুন একটি নৌবহর। বর্তমানে এই বহরটি ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (২৭৭ কিলোমিটার বা ১৫০ নটিক্যাল মাইল) দূরে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এফএফসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন নৌবহরটি সেই এলাকার কাছাকাছি রয়েছে, যেখান থেকে কিছুদিন আগে তাদের প্রথম মিশন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র নৌযানগুলো ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল।
এফএফসি জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা গতকাল 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, "আমরা গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।"
জানা গেছে, ফ্লোটিলার নতুন এই বহরটিতে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ৯টি নৌযান রয়েছে। এই নৌযানগুলোতে ক্রুসহ ১০০-এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন।
এফএফসি জোটের প্রথম মিশন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত আগস্ট মাসে গাজায় ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এই মিশনে সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক যুক্ত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। কিন্তু গাজার জলসীমার কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলের নৌবাহিনী একে একে সবগুলো নৌযান আটক করে এবং নৌযান, ক্রু ও আরোহীদের ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে ইসরায়েল সরকার ইতোমধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ শতাধিক অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠিয়েছে, তবে এখনও কয়েকজনকে আটকে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় কোনো সমুদ্রবন্দর নেই এবং ইসরায়েলি অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজ সেখানে যেতে পারে না। ফ্লোটিলার এই নৌবহর গাজা উপকূলে পৌঁছালে তা হবে ১৮ বছর পর সেখানে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের নোঙ্গর করা।
আপনার মতামত লিখুন :